মেসোপটেমিয়া সভ্যতা: সুমেরীয়-আকেদীয়-গুটি-সুমেরীয়

মেসোপটেমিয়া সভ্যতার উত্থান

মেসোপটেমিয়া কোন একক সভ্যতা নয়। প্রাচীনকালে এখানে একে একে গড়ে ওঠে চার সভ্যতা-সুমেরীয়, আসেরীয়, ব্যাবিলনীয় ও ক্যালডেরীয় সভ্যতা। এদের মধ্যে সুমেরীয় সভ্যতা প্রথম গড়ে ওঠে। এর পরে মহান সারগন গড়ে তোলে আকেদীয় সাম্রাজ্য। আকেদীয়দের পরে গুটি শাসন। উতু-হেগেল ফিরিয়ে আনে সুমেরীয় শাসন। এর পরে উর-নাম্মু তৈরি করে পৃথিবীর প্রথম আইন সংকলন- কোড অভ উর নাম্মু।

আফ্রিকার নীল নদের নিম্ন অববাহিকায় ভূ-মধ্য সাগর অবস্থিত। এ সাগরের পূর্ব উপকূলে আছে দুটি নদী- টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস। এরা দজলা ও ফোরাত নদী নামেও পরিচিত। নদী দুটি পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে পারস্য উপসাগরে পতিত হয়। নীল নদের নিম্ন অববাহিকা হতে ভূ-মধ্য সাগরের পূর্ব তীর পার হয়ে পারস্য উপসাগরের পশ্চিম উপকূল পর্যন্ত অঞ্চলটি ইদের নতুন চাঁদের মতো দেখায়। দুই নদীর উর্বর পলিমাটির জন্যে এ অঞ্চলটি কৃষিকাজের বিশেষ উপযোগি ছিল। এ জন্য এখানে গড়ে উঠেছিল পৃথিবীর প্রথম সভ্যতা- মেসোপটেমিয়া সভ্যতা। ইদের নতুন চাঁদের মতো দেখতে উর্বর এ অঞ্চলটি ‘ফার্টাইল ক্রিসেন্ট’ নামে পরিচিত। মানব সভ্যতার ইতিহাসে ফার্টাইল ক্রিসেন্টকে সভ্যতার আঁতুরঘর বলে।

ফার্টাইল ক্রিসেন্ট