পারস্য সভ্যতা: আকিমানিদ সাম্রাজ্য-মেসিডোনিয় শাসন-জরথুস্ত্রবাদ-সিলুসিদ শাসন

পারস্য সভ্যতা মেসোপটেমিয়ারনব্য ব্যবিলনীয় সাম্রাজ্যমিশরের কুশাইট রাজ্য করায়ত্ত্ব করে প্রায় অর্ধ-পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত হয়েছিল।  

মেসোপটেমিয়া অঞ্চলের পূর্বের উত্তর-দক্ষিণ অঞ্চল হতে পারস্য সভ্যতার উত্থান হয়। বর্তমান ইরানের আগের নামও পারস্য। তবে এখন ইরান বলতে যে ভূখণ্ড বোঝায়, পারস্য বললে তার থেকে বহুগুণ বড় এক অঞ্চল বোঝাত।

 খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দের দিকে ইরানীয় মালভূমিতে একটি জাতি বসতি স্থাপন করে। জাতিগত ভাবে এরা আর্য নামে পরিচিত। এদের মধ্যে ঐতিহাসিক ভাবে মেদেস, পার্থীয় ও পারসিক গোত্রগুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মেদেস গোত্রীয় লোকেরা মালভূমির উত্তর-পশ্চিম অংশে বাস করা শুরু করেছিল। এ অঞ্চল মেদেস (বা মেদেয়া) নামে পরিচিত হয়। ইরানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের পার্থীয়রা বাস করত বলে এটি পার্থীয়া নামে পরিচিত।

পারসিক জাতির লোকেরা মালভূমির দক্ষিণ অংশে বাস করা শুরু করে। এ অঞ্চলটির নাম পার্সিস বা পার্সিয়া। এ অঞ্চলে যারা বাস করতো তাদের পারসিক বলা হতো। এই পারসিকদের হাতে গড়ে ওঠে পারস্য সভ্যতা। পারসিক ও মেসোপটেমিয়ার মাঝে পশ্চিমে পারস্য উপসাগরের কোল ঘেঁষে প্রায় মেসোপটেমিয়ার সমসাময়িক আরও একটি বিখ্যাত অঞ্চল ছিল যার নাম ইলাম। সুসা, আওয়ান ও আনশান ছিল এ অঞ্চলের তিন বিখ্যাত শহর।

মেদেস-পার্থিয়া-পার্সিয়া-ইলাম