মলয়াগীতি - কার ভরসা কররে ভাই ও সাধু বেপারী.

মলয়াগীতি কার ভরসা কররে ভাই, ও সাধু বেপারী মনোমোহন দত্ত রচিত।

মলয়াগীতি লিরিক্স

কার ভরসা কররে ভাই, ও সাধু বেপারী

মন তো আপনা নয়, করে ঝাঁকা জোড়ি।।

গুরু তো আপনা নয়, না কয় তত্ত্বকথা

স্ত্রী তো আপনা নয়, না নেয় মর্ম ব্যথা

কুটুম্ব তো আপন নয়, চায় টাকা কড়ি।।

বাড়ি তো আপনা নয়, পড়ে রবে ছাড়া

পুত্র তো আপনা নয়, নাহি দিবে সাড়া

দেহ তো আপনা নয়, কিসের বাহাদুরি।।

ধন তো আপনা নয়, সঙ্গে নাহি যাবে

বন্ধু তো আপনা নয়, কথা নাহি কবে

দিন থাকিতে মনোমোহন কয়, চিনো আপন বাড়ি।।

মনোমোহন দত্ত

মলয়াগীতি English Translation

O, honest merchant! Whom do you rely on?

Your mind is not yours. It agitates.

Your guru is not yours. He doesn’t divulge the secret truths.

Your wife is not yours. She doesn’t share your sufferings.

Your relatives are not yours. They want your wealth.

Your home is not yours. It will remain vacant.

Your son is not yours. He won’t respond to your call.

Your body is not yours. So, what do you boast of?

Your wealth is not yours. It won’t be any use after death.

Your friends are not yours. They won’t talk to you.

Manomohan says: Recognize your own home before it’s too late.

অনুবাদ Alauddin Vuian

কার ভরসা কররে ভাই, ও সাধু বেপারী

মলয়াগীতি ব্যাখ্যা

মানুষ বিভিন্নভাবে বস্তুর সাথে সম্পৃক্ত থাকে। বস্তুর এই সম্পৃক্ততা তার মনকে বিভিন্ন ব্যক্তি বা বস্তুর উপর নির্ভরশীল করে তোলে। তার এই ব্যক্তি বা বস্তু নির্ভরতা তার মুক্তির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দেখা দেয়। তার মনের এই বিভিন্ন ভাবের নির্ভরতা কেবল বস্তু প্রাপ্তির সাথে সম্পৃক্ত। সে ক্ষেত্রে গুরুর উপর নির্ভরতাও তাকে দুর্বল করে রাখে। কারোর উপরই নির্ভর করা সঠিক না। বিশেষ করে মুক্তির পথের যাত্রী তাকে অবশ্যই নিজ দেহমনের ধ্যানের শক্তির উপর নির্ভর করা বাঞ্ছনীয়। কোন ব্যক্তি বা বস্তুর উপর নয়।

মানুষের মন বড় চঞ্চল। এ মন বস্তু দ্বারা তৈরী হয় এবং সর্বদা বস্তুতে অবগাহন করতে ভালবাসে। মন যেসব ব্যক্তি বা বস্তুর উপর নির্ভর করে তার কোনটাই মানুষের নিজের মুক্তির জন্য কোন সহায়ক না। এমনকি মনের দ্বারা রচিত সকল নির্ভরতা মানুষের মুক্তিকে বিলম্বিত করে। তাই মন দ্বারা নির্ভরশীলতাকে পরিহার করা একান্ত প্রয়োজন।

একজন প্রজ্ঞাবান সত্ত্বা তার দেহমনকে মুক্তির দেশে নেয়ার জন্য প্রকৃত মুক্তির সাধনা অত্যাবশ্যক। এই সাধনার দ্বারা মানুষ তার মনের অবস্থাকে অবলোকন করে নিজের অন্তরের মধ্যে যে প্রজ্ঞাবান শক্তি আছে তাকে জাগ্রত করতে সক্ষম হবে এবং সেই শক্তির দ্বারা সর্বদা নিজের দেহমনের উপর কর্তৃত্ব করতে সক্ষম হবে।